নিউজ ডেস্ক : সিলেটে দলীয় সভা শেষে বাড়ি ফেরার পথে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের পরিকল্পিত হামলার শিকার হয়েছেন স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতাকর্মীরা৷
গত (১১ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নগরীর 'ল' কলেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
এঘটনায় ১৫ জনকে আসামি করে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা (মামলা নং: ১৭,তাং:১২/৪/২০২৫ইং) দায়ের করেন শাহপরান থানার মিরাপাড়া এলাকার দুদু মিয়ার ছেলে মোস্তাক আহমদ (৪৬)। ওই মামলার ১০ নং আসামি দক্ষিণ সুরমা থানার তুরুকখলা গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মো. আশফাকুল ইসলাম।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে দলীয় সভা শেষে বাড়ি ফিরছিলেন মামলার বাদিসহ নেতাকর্মীরা। এসময় পূর্বপরিকল্পিত ভাবে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা মোটরসাইকেল দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে সড়কে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। বিষয়টি স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতাকর্মীরা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সদস্য সচি আজিজুল হোসেন আজিজকে অবগত করলে তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের সরে যেতে বললে তারা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় স্বেচ্ছাসেবকদলের ১০/১৫ জন নেতাকর্মী আহত হন। এঘটনায় মোস্তাক আহমদ বাদি হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
এদিকে এঘটনার খবর পেয়ে একই দিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের হামলার প্রতিবাদে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা প্রতিবাদ মিছিল নিয়ে বের হলে নগরীর মাছিমপুর এলাকায় পৌঁছামাত্র আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর পুনরায় হামলা চালায়৷ এসময় আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে তারা। ঘটনাস্থলে ককটেল ফাটিয়ে এলাকায় ভয়ের সৃষ্টি করে৷ এসময় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়৷
এঘটনায় সিলেট সদর থানার বারুতখানা গ্রামের আলী আরশাদ খাঁন বাদি হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় ৩০ জনের নামোল্লেখ করে একটি মামলা (মামলা নং:১৮, তাং:১৪/৪/২০২৫ইং) দায়ের করেন। ওই মামলায় মো.আশফাকুল ইসলামকে ২৪নং আসামি করা হয়৷
দুইটি মামলার বিষয় নিশ্চিত করেন কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.জিয়াউল হক।
এদিকে খুঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০২১ সালে জীবন-জীবিকার তাগিদে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মো.আশফাকুল ইসলাম যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান৷ যুক্তরাজ্যে থেকেও তিনি দুইটি মিথ্যা মামলায় আসামি হয়েছেন।